আমাদের এলাকার একজন লোক ছিল। নাম সুজাল। সর্বজনবিদিত কৃপণ ছিল। জনশ্রুতি আছে সে ধান পাবার পর সেটা কোলায় (ধান রাখার এক প্রকার মাটির পাত্র) রেখে মুখটা ঢাকনাসহ মাটি দিয়ে লেপে রাখত। কোন বাজারঘাট করত না; ভাতও রান্না করতে দিত না বউকে। এভাবে অতিষ্ঠ হয়ে একবার বউ ভাত রান্না করার কথা বলায় সুজাল ক্ষেপে গেল। বলল ঘরে খাবার কোন চাল নাই। সুজালের বউ বলল কোলায় যে ধান রাখা আছে সেটা ভাঙ্গালেই তো চাল পাওয়া যায়।
সুজাল অগ্নিরূপ ধারণ করে বলল, “শালার মা*, ওইটা বেচার ধান; খাবার কোন ধান নাই।”
আমাদের দেশের মধ্যবিত্তদের অবস্থা বোঝা যাচ্ছে সুজালের মত। করোনার কারনে লকডাউনে চারপাশে আহাজারি শোনা যাচ্ছিল ‘গরীব ত্রাণ পাচ্ছে, বড়লোকদের আছে আর মধ্যবিত্ত মারা যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: করোনা রোগী নিয়ে সাটুরিয়া ইউএনও’র ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল
শিথিল করার পর শপিং মলের ভীড় দেখে বোঝা যাচ্ছে এদেশের মধ্যবিত্তের কাছে খাওনের ট্যাকা নাই মাগার শপিং এর টাকার কোন ঘাটতি নাই।
লেখা ও ছবি সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশারফুল আলম এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
মানিকগঞ্জ২৪/ ১৭ মে ২০২০।