তুচ্ছ ঘটনায় মসজিদে তালা

হরিরামপুর প্রতিনিধি, ৫ মার্চ:

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আদাশরী জামে মসজিদে তুচ্ছ ঘটনায়  প্রায় ৭ মাস ধরে তালা ঝুলিয়ে দেবার অভিযোগ উঠেছে।  ঐ গ্রামের নূরুল হক তার বাহিনী নিয়ে ২০১৯ সালের ঈদুল আযহার একদিন আগে ১১ ই আগষ্ট মসজিদে তালা দিয়ে সকল কাযক্রম বন্ধ করে দেন। ঈদের নামাজ মসজিদ কিংবা মাঠে আদায় করলে মুসুল্লিদের মেরে ফেলার দেবার হুমকি দেওয়া হয়। পরে মসজিদের চাবি চাইতে গেলে মসুল্লিকে কুপিয়ে জখম করে নরুল হক ও তার বাহিনী। ফলে ৭ মাস ধরে মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারছে না ধর্মপ্রাণ মুছুল্লিরা  ।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের আদাশরী গ্রামের একমাত্র জামে মসজিদটি ২৫ বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছিল। এতে সভাপতি হিসেবে ছিলেন নরুল আমিন। কিন্তু নূরুল হক মঞ্জুরুল আমিনকে সভাপতি করে আরেকটি কমিটি করে। কিন্তু এ কমিটি গ্রামের অধিকাংশ মানুষ সমর্থন না দেওয়ায়  ২০১৯ সালের ১১ ই আগষ্ট হঠাৎ করে মসজিদে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেন ঐ গ্রামের নুরুল  হক বাহিনী।

ধীর্ঘ ৭টি মাস ধরে মসজিদটি তালা মেরে সকল কাযক্রম জোরপূর্বক বন্ধ রেখেছে। কেউ মসজিদের চাবি চাইলে তাদের উপর নেমে আসে বর্বর জুলুম অত্যাচার। মসজিদ আঙ্গিনায় পা দিলে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেওয়াতে কোন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারছে না । ফলে ঐ গ্রামের ৪২টি পরিবার মসজিদ থাকতেও জামাতে নামাজ আদায় করতে না পারায় ফুষে উঠছে। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী এ থেকে রেহাই হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সরেজমিনে গত বুধবার বিকালে আদাশরী জামে মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদটি তালা ঝুলছে। মসজিদের জানালা ও দরজায় ঝং পড়ছে।

আদাশরী গ্রামের আবুল কাসেম বলেন, নূরুল হক তার দল বল নিয়ে মসজিদ তালা দিয়ে চলে যায়। পরের দিন মসজিদে মক্তব পড়তে আসে শিক্ষার্থীরা। আমি মসজিদের চাবি আনতে গেলে নূরুল হক তার দল বল নিয়ে আমাকে মারধর করে।

একই গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, ঈদের নামাজ সমাজের মানুষের সাথে পড়ার অভিযোগে নূরূল হক ও তার বাহিনী আমার মাথায় কুপিয়ে জখম করে। আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করে।

মসজিদটির সভাাপতি নরুল আমিন বলেন, আমরা ২৫ বছর  ধরে মসজিদটি সুন্দর করে পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে নুরুল হক ও মঞ্জুরুল আলম মসজিদটি ২০১৯ সনের ১১ই আগষ্ট তালা দিয়ে চাবি নিয়ে যায়। মসজিদে কেউ নামাজ পড়তে চাইলে তার লাশ ফেলে দেবে। ঈদের দিন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মহরা করে। পরে মসজিদের তালা দেওয়া কে কেন্দ্র করে ২ জনের উপর হামলা চালালে আমরা এ মসজিদেও চাবি আর চাইনি।

অভিযুক্ত নূরুল হক বলেন, মসজিদের তালা আমি দেই নি।  আমার সাথে মামলা চলছে নূরুল আমিনের সাথে। তাই নূরুল আমিনের লোকজন তালা দিয়ে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে হরিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুঈদ চৌধুরী বলেন, গত বুধভার রাতে মসজিদে তালার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ৫ মার্চ ২০২০।

আরো পড়ুুন