মানিকগঞ্জ২৪ প্রতিনিধি ॥ জেলার পদ্মা-যমুনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অভিযোগ ২৪ ঘন্টায় শিবালয় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ৫৪ জন ও দৌলতপুর দৌলতপুর মৎস্য অধিদপ্তর ১৩ জন জেলেকে আটক করেছে। ২ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। পরে শনিবার বিকালে আটক জেলেদের অর্থদন্ড করে ভ্রাম্যমান আদালত।
মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: নুরতাজুল হক জানান, পদ্মা-যমুনা নদীতে সরকারী নিষেধ অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে দুই উপজেলা শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৬৭ জন জেলেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৭০ কেজি ইলিশ মাছও জব্দ করা হয়।
পরে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামাল মোহাম্মদ রাশেদ তার কাযালয়ে ভ্রাম্য আদালত বসিয়ে ৫৩ জনকে সাড়ে তিন হাজার টাকা ও একজনকে বিশেষ বিবেচনায় ১ হাজার টাকা অর্থদন্ড করে ছেড়ে দেন।
অপর দিকে দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদী থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অভিযোগে ১৩ জনকে আটক করে নিয়ে আসলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কানিজ ফাতেমা ১৩ জনকে বিভিন্ন অংকের অর্থ জড়িমানা করেন।
আটককৃতদের কাছ থেকে ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং ৭০ কেজি জব্দকৃত ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিম খানায় বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: নুরতাজুল হক।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ৭ অক্টোবর/ ২০১৭।
আরও পড়ুন