সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু: এখানে অনেকগুলো গলাগলির কিংবা কোলাকুলির ছবি আছে। সবগুলো ছবি একটি
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কয়েক মিনিট পরের। ছবির মানুষগুলো নির্বাচন করেছেন।
এসব কোলাকুলি করাদের একজন হেরেছেন,অন্যজন জিতেছেন।
২য় ছবিটি দেখুন,
দুজনের গলায় গাঁদা ফুলের মালা। এ দুজন একই পদে ভোটের লড়াই করেছেন,ভোট শেষে
একে অন্যের গলায় মালা পরিয়েছেন।
এ সবই মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যকরী
পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহন এবং ফলাফল ঘোষণার পরের দৃশ্য। এমন ছবি শুধু
এবারের নির্বাচনেই নয় গত ২যুগের নির্বাচন পরবর্তী দৃশ্যেরই ধারাবাহিকতা।
মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব।
নির্বাচন কমিশনার,নির্বাচন কমিশনের সদস্যও
নির্ধারিত হন প্রেসক্লাবের সদস্যদের মধ্য থেকে। দুই বছর পরপর নির্বাচন হয়
ক্লাবের গঠনতন্ত্র নির্দেশিত সময়সীমার মধ্যে।
গত দু্ই যুগে এর কোন ব্যত্যয়
ঘটেনি। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত কোন লিফলেট,পোস্টার,ব্যানার
দেখা যায় নি। এমনকি ফেসবুকেও কোন প্রচারণা চালান নি কেউ। ভোট চেয়ে একটি
স্ট্যাটাসও ছিল না কারও।
ভোটাররা সবাই সাংবাদিক,অসাংবাদিক কেউ ভোটারও
নন,প্রার্থীতো ননই। শুধু ভোটই নয়,সংগঠন চলে প্রেসক্লাবের সংবিধানকে অনুসরণ
করে।
আয় ব্যয়ে আছে অভাবিত স্বচ্ছতা। কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন ছাড়া ব্যয়
করা যায় না। ব্যায়ের পর সে ব্যয় অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়।
দ্বিবার্ষিক সাধারণ
সভার আগে সমস্ত আয় ব্যয় বাইরের অডিটরদের দ্বারা অডিট করানো হয়। এবং সেই
অডিট রিপোর্ট সাধারণ সভায় পেশ করে চুড়ান্ত অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৫২জন। ভোট কাস্ট হয়েছে ৫২টি।
সভাপতি
নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল আই এবং জনকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি গোলাম ছারোয়ার
ছানু। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সমকাল এবং এস,এ,টিভির জেলা
প্রতিনিধি বিপ্লব চক্রবর্তী।
সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
মানিকগঞ্জ২৪/ ৬ আগস্ট/ ২০১৭।