পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাণঘাতী টর্নেডোর ৩১ বর্ষপূর্তি আজ

এস.কে.এম. হেদায়েত উল্লাহঃ

রমজান মাস। এপ্রিলের তপ্ত সন্ধ্যা। সবাই ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সময়েই আকাশ কালো করে নেমে এলো বাতাস।সৃষ্টি হলো টর্নেডো। তছনছ করে দিলো একটি গোটা এলাকা। প্রাণ হারালো ১৩০০ মানুষ, পঙ্গু হলো আরো কয়েক হাজার। সৃষ্টি হলো পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টর্নেডোর।

আজ থেকে ৩১ বছর আগে ১৯৮৯ এর ২৬শে এপ্রিলে ঘটেছিলো এমন ঘটনাই। মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও সাটুরিয়া উওজেলায় আঘাত হানে টর্নেডো। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির স্বীকার হয় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সাটুরিয়া ও হরগজ গ্রাম। এই টর্নেডো “দৌলতপুর-সাটুরিয়া টর্নেডো” নামেই পরিচিত।

কথিত আছে এই টর্নেডো এতোই শক্তিশালী ছিলো যে মালবোঝাই একটি ট্রাক নদীর একপাশ থেকে আরেকপাশে গিয়ে পড়েছিলো। এই টর্নেডোতে প্রায় পুরো গ্রামই পরিণত হয়েছিলো একটি ধ্বংসস্তুপে। মারা যায় প্রায় ১৩০০ মানুষ। পৃথিবীতে এরচেয়েও বড় বড় টর্নেডো হয়েছে। কিন্তু কোন টর্নেডোতেই এতো মানুষ মারা যায় নি।

এই টর্নেডোর ধ্বংসলীলা নিয়েই বাংলাদেশের অন্যতম নাট্যকার, নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন লিখেছিলেন তার অন্যতম বিখ্যাত নাটক “হরগজ”। ঢাকা-মানিকগঞ্জ এলাকায় এটিই একমাত্র টর্নেডোর ঘটনা নয়। ১৯৬৯ ও ১৯৭৩ সালেও টর্নেডো হয়েছে। তবে এরকম প্রাণঘাতী টর্নেডো বাংলাদেশ কেন পুরো পৃথিবীর ইতিহাসেই নেই।

মানিকগঞ্জ২৪.কম/এস.কে./২৬ শে এপ্রিল/২০২০

আরো পড়ুুন