মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি,৫ মার্চ
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় পত্র ও সনদ আগামী ২৬ মার্চ থেকে দেয়া শুরু হয়ে ১৭ এপ্রিল শেষ হবে। এ পরিচয়পত্র হবে ডিজিটাল। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন সড়ক মুক্তিযোদ্ধাদর নামে নাম করণ করা হবে।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে ঢাকা পশ্চিম অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দিনব্যাপী মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ করা হবে। একই ডিজাইনে সারা দেশেই সংরক্ষণ করা হবে। বদ্ধভুমি সংরক্ষণ করা হবে। মামলার কারনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন বন্ধ ছিল। এখন মামলা নেই। তাই অচিরেই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, মির্জা ফকরুল দাবী করেছেন, খালেদা জিয়া প্রথম মহিলা মুক্তিযোদ্ধা- তারেক শিশু মুক্তিযোদ্ধা। বেগম খালেদা জিয়া ৯ মাস ক্যান্টনম্যান্টে হেফাজতে ছিলেন। দুই ধরনের মানুষ ক্যান্টনম্যান্টে ছিলেন। কাউকে জোড় করে তাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। আর কেউ সেচ্ছায় থাকত।
একই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাননীয় প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। কারন তার নের্তৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দ্বারাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার জন্য বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কোন দুস্কৃতকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা বেচে থাকতে ক্ষমা করব না।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন বিধায় দেশের প্রতিটি বাড়িতে আলো জলে, প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে, আর কেউ কুপি ঝালায় না। দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। দরিদ্রতা দুর হয়েছে। আপনারা যুদ্ধ করেছেন বিধায় শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সেবাকে দোড় গোরায় নিতে পেরেছেন। গড় আয়ো ৭৩ বছর হয়েছে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন ছৌধূরী মায়া বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম, খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। আমরা জানতে চাই খালেদা জিয়া কার সাথে যুদ্ধ করেছেন, কোথায় করেছেন। মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করেন। যুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া যুদ্ধ করে থাকলে, তাকে স্বীকৃতি দেন, আর মিথ্যা হলে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুরুধ করেন।
ঢাকা পশ্চিম অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দিনব্যাপী মিলনমেলার উৎযাপন কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযেআদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্তে বক্তব্য রাখেন, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী বীর প্রতিক গাজী গোলাম দস্তগীর, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প বিষয়ক বিষয়ক উপদেষ্ঠা সালমান এফ রহমান, মানিকগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মানিকগঞ্জ- ৩ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, ত্রাণ ও পুর্নবাসন ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান সহ আরও অনেকে।
এ মিলন মেলায় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রায় ৫ হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করে। পরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ৫ মার্চ ২০২২।