সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ৯ নভেম্বর:
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের স্কুলে আসা যাওয়ার সময় ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় ইংরেজি শিক্ষককে বেদম পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে বখাটে যুবক আলামিন ও রমজান আলী সজল। বুধবার বেলা পৌনে দশটার সময় স্কুল গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক পিটিয়ে জখম করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে সাটুরিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মুখের মধ্যে ৪ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। হরগজ গ্রামের বালুচর এলাকার মো. রফিকের ছেলে আলামিন ও রহমানের ছেলে রমজান আলী সজল এ ঘটনা ঘটায়।
আহত শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আলামিন ও রমজান প্রায় আমার শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া আসার সময় ইভটিজিংয় করত। বুধবার সকালে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে আমার মোবাইলে। ফোনে আমাকে স্কুলে ঢুকার আগে গেটের সামনে দেখা করতে আলামিন ও রমজান আলী। সকাল পৗনে ১০ টার সময় গেটের সামনে গেলে আমাকে ধরে বেদম মারধর করে। পরে স্থানীয়রা স্কুলে খবর দিলে অন্য শিক্ষকরা আমাকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, রমজান আলী ও আলামিন এরা প্রতিদিন স্কুলে ছাত্রীরা আসা ও যাওয়ার সময় রাস্তায় ছাত্রীদের ইভটিজিংয় করে। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীরা মাঝে মধ্যে অভিযোগ করত। এরা নেশা ও মাদকাশক্ত। তিনি শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ওই দুই বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। এ ঘটনায় প্রধান আমি বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছি।
এদিকে ঘটনার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হরগজ বাজারে আসামীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন করেছে।
হরগজ ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জ্যোতি বলেন, শিক্ষককে পিটিয়ে আহতের বিষয়টি আমি শুনেছি। আসামীদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে না আসলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ.খ.ম নুরুল হক বলেন, উপজেলা প্রতিটি স্কুল চলাকালীন সময় ও ছুটির সময় প্রশাসন, শিক্ষক এবং অভিবাকদের আরো সচেতন হতে হবে।
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ^াস বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ্আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ৯ নভেম্বর ২০২২।