সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ১৬ ডিসেম্বর:
উপজেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা, কর্মচারীদের গায়ে লাল সবুজের পতকা স্বম্বলিত পাঞ্জাবি, শাড়ি পরে শহীদ বেদীতে ফুলের শ্রদ্ধা জানানেরার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা।
উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের চতুর্থ কর্মচারিরা পাঞ্জাবী পড়ে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে উপজেলা পরিষদের শহীদ বেদীতে হাজির হন। এসময় আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের পাঞ্জাবি সরবরাহ করলে আরও সুন্ধর হয়ে উঠত।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।
প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আরা ও সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর বিভিন্ন সরকারী – বেসরকারী দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানগণ, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের জনগণ শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় দেখা যায়, উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের প্রধানগণ, কর্মচারী এবং কি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের গায়ে লাল সবুজের পতাকা সম্বলিত পাঞ্জাবী ও শাড়ি। অথচ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোন পাঞ্জাবী নেই। এসময় মুক্তিযোদ্ধাসসহ অন্যান্য মানুষ প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে সমালোচনা করেন।
মুক্তিযোদ্ধা হাসান মিলেটারি বলেন, সম্মান কখনও চেয়ে নিতে হয় না। আমরা মুক্তিযোদ্ধ করেছি, কোন কিছু পাওয়ার জন্য নয়। দেশ ও মাটির টানেই আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে শারা দিয়ে যুদ্ধ করেছি।
সাটুরিয়ার অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ খ ম নূরুল হক বলেন, শহীদ বেধীতে অনেক উপজেলা প্রশাসনসহ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা পাঞ্জাবী পড়ে এসেছেন, দেখতে খুব সুন্দর লেগেছে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের দিতে পারতেন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের নাম করে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা তুলে অনুষ্ঠান করেন। আমাদের নাম মাত্র গিফট তুলে দেন। আমি এ বিষয়ে বলতে চাই , এভাবে আমরা আর আপনাদের পুরুষ্কার নিব না, আর টাকা তুলতেও বারণ করব।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আরা বলেন, শাড়ি ও পাঞ্জাবি সাটুরিয়া অফিসার্স ক্লবের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। আর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গিফট ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হবে।
ছবির ক্যাপশন: বামে দুই জন চতুর্থ শ্রেণীর দুই জন কর্মচারী পাঞ্জাবী পড়েছেন, ডানে মুক্তিযোদ্ধাদের পাঞ্জাবী দেওয়া হয়নি।
মানকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১৬ ডিসেম্বর ২০২১।