সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ১৬ মে.
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নের গর্জনা গ্রামের পানি সেচ ঘর থেকে আরিফ নামে এক ধান কাটা শ্রমিকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সোমবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ হাসাপতালের মর্গে পাটিয়েছে।
নিহত আরিফ জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের ঝিলিম কবিরাজের পুত্র।
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক একই ইউনিয়নের ব্রাক্ষন্দী গ্রামের মো. মেহের আলী শেখের পুত্র মানিক ওরফে হৃদয়, সহযোগী বাবুল হোসেন ও কৃষক ইউনুছ আলীকে জিঙ্গাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার ধামরাই উপজেলার দ্বিমুখা গ্রামের ইউনুছ আলী বোরো ধান কাটার জন্য মানিকগঞ্জ শ্রমিক হাট থেকে আরিফ, মানিক ওরফে হৃদয় ও বাবুল কে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে বোরো ধান কাটার জন্য। তিন ধান কাটার শ্রমিকের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে।
সোমবার সকালের খাবার খেয়ে শ্রমিক হৃদয়, বাবুল ও আরিফ ধান কাটতে গর্জনা গ্রামের ক্ষেতে যায়। দুপুরে ক্ষেতের পাশে একটি মেশিন ঘরে তারা তিনজনে মিলেই বিশ্রাম নিচ্ছিল। এ সময় পূর্ব শক্রুতা জের ধরে হৃদয় আরিফ কে ধান কাটার ধারালো কাস্তে দিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আরিফের মৃত্যু হয়। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খরর দেয়।
শ্রমিক হৃদয় বলেন, তার সহকর্মী আরিফ আমার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া সে এলাকার অনেকের ক্ষতি করেছে। এজন্য তাকে হত্যার পরিকল্পনা করি অনেক আগে থেকেই। কিন্তু সুযোগ না পেয়ে শ্রমিক হিসেবে এক সাথে কাজ করতে এসে তাকে কাস্তে দিয়ে জবাই করি।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, গলা কেটে হত্যার খবর শুনে ফোর্স নিয়ে আমি নিজে গর্জনা গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্বের কোন শক্রুতা ছিল তাদের মধ্যে। এ ঘটনায় হৃদয়, বাবুল নামে দুই শ্রমিক কে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে। এছাড়া বাড়ির মালিক ইউসুফ আলীকে জ্ঞিগাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে হৃদয় হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা পক্রিয়াধীন।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১৬ মে ২০২২।