সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ২০ জুলাই:
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্মামী বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার সময় এ ঘটনা ঘটে বরাইদ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় নিহত মালেকার মা জীবননেছা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সাটুরিয়া থানার অফিাসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ।
সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মোঃ জব্বার আলীর মেয়ে মালেকা আক্তারের সাথে একই গ্রামের শহীদের ছেলে মো. ফেরদৌস হোসেনের সাথে ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। এরমেধ্য মালেকার স্বামী তিল্লিচর এলাকার পিংকি নামে এক মেয়ের সাথে পরকীয়া করে বিয়ে করেন। ফেরদৌস দ্বিতীয় বিয়ে করার পর প্রথম স্ত্রীকে মারধর করত। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন তিনি। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংশা করে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার আশ^াস দিয়ে প্রথম স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করে সে।
এদিকে ফেরদৌস সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নেওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় এ নিয়ে প্রথম স্ত্রী মালেকার সাথে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হয় তাদের মধ্যে। মঙ্গলবার রাতে মালেকা ও ফেরদৌসের সাথে পরকীয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে ৫ মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে পেটের মধ্যে লাথি ও গালায় মুখে আঘাত করে। একপর্যায়ে মালেকা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আক্কাছ আলীকে ঢেকে আনেন স্বামী। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করলে মালেকার স্বামী তার মরদেহ ফেলেই ফেরদৌস রাতেই পালিয়ে যায়।
মালেকার বাবা মো. জব্বার আলী জানান, তার মেয়ের জামাই ফেরদৌস হোসেন তিল্লিচর এলাকার পিংকি নামে এক মেয়ের সাথে পরকীয়া ছিল। এ পরকীয়া নিয়ে মেয়ে মালেকার সাথে জামাই ফেরদৌসের সাথে প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। দুইমাস আগে পিংকিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা যৌতুক নেয় জামাই। তিনি অভিয়োগ করে বলেন, পিংকির পরামর্শে ফেরদৌস আমার মেয়েকে হত্যা করেছে বলে দাবী করেন তিনি।
সাটুরিয়া থানার অফিাসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য মানিকগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মালেকার মা জীবননেছা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামীকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২০ জুলািই ২০২২।