সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ২৯ এপ্রিল:
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় তামাক ব্যাবসার আড়ালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি চুরি করে এনে ভাঙ্গারি হিসেবে বিক্রি করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় চোরাই মাল ব্যবহারের একটি ট্রাক জব্দসহ ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মালপত্র উদ্ধার করা হয়।
শনিবার রাতে সাটুরিয়ার কামতা পুলিশ ফাঁড়ির সংলগ্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে দুটি ট্রাকের চোরাই ইঞ্জিনসহ বডির কাটা অংশ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেন।
মো. মোশারফ হোসেন বলেন, সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া গ্রামের মো. খোরশেদ আলম ভাঙ্গারী ও তার ছেলে মো. রাকিব হোসেন দীর্ঘদিন ধরে আকিজ গ্রুপের ভাঙ্গা সিগারেটের অংশ কিনে প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবসা করে আসছিল। এর আড়ালে তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চোরাই বাস ট্রাক কম দামে কিনে কামতা একতা টেডিংস গোডাউনে কেঁটে ভাঙ্গারী হিসেবে বিক্রি করত।
এমন সংবাদ পেয়ে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল কামতা একতা ট্রেডিংস সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ট্রাকের বডি কাঁটা অবস্থায় গোড়লা গ্রামের মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো.মাহাবুব আলম রাকিব, সিঙ্গাইর বান্দাইল গ্রামের ট্রাকে চালক মো. সাদ্দাম হোসেন ও ভাকুয়াপাড়ার মো. বাদল হোসে কে আটক করে। আসামীদের দেওয়া তথ্যমতে পলাতক আসামী আমিন, শাকিল পারভেজ ও মতিন নামে আরো কয়েকজন এ চক্রের সাথে জরিত বলে জানা গেছে।
আসামী মাহবুব আলম রাকিব বলেন, ট্রাকসহ বিভিন্ন চোরাই গাড়ি বিভিন্ন জেলা হতে কিনে মানিকগঞ্জের জাগীর এলাকার মেঘশিমুল সার্ভিসিং সেন্টারের মামুনের গ্যারেজের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে কেটে কেটে খন্ড করা হতো। পরে এসব গাড়ির যন্ত্রাংশ ভাঙ্গারী হিসেবে বিক্রি করা হতো। এরপর গাড়ির ইঞ্জিন একতা ট্রেডিংস নামক গোডাউনে কৌশলে লুকিয়ে রাখতাম।
আওয়ামীলীগ নেতা মো. ফারুক হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জেনেছি এখানে তামাকজাত করা হয়। তামাকজাতের আড়ালে এলাকায় পরিচিত ভাঙারী খোরশেদ আলম ও তার ছেলে এ ধরণের চোরাই ব্যবস্থা করে তা আমাদের জানা ছিল না। প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে সে ভাঙ্গারী ব্যবস্থা করে আসছে বলে জানান।
মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত তিন আসামীর কাছ থেকে তিনটি ট্রাকের ইঞ্জিন,বডির অংশ ও কয়েকটি চাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে চোরাই মাল বহনকারী একটি ট্রাক। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আসামীদের আইনি পক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানোর পক্রিয়া চলছে।
সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা ডিউটি অবস্থায় দেখেছি ওখানে গাড়ি ওয়াস করা হয়্ ভেতরে কি আসে তা কখনো দেখিনি। যেহেতু মামলা হয়েছে। এখন আইনি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২৯ এপ্রিল ২০২৩।