মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ৪ ফেব্রুয়ারি:
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য পদ থেকে জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয় সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়রা রোডে নিজের বাসভবনে বিএনপি’র কয়েকজন নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি এবং নবগঠিত আহবায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এর আগে, ১ ফেব্রয়ারি (শনিবার) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ন মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ৭ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেওয়া মানিকগঞ্জ জেলায়।
সংবাদ সম্মেলনে আতাউর রহমান আতা বলেন, যিনি ছিলেন সভাপতি তিনিই এখন আহবায়ক। আমাকে আহবায়ক কমিটি ৩ নং সদস্য করে হেয করা হয়েছে। আামার উপরে যে দুইজন সদস্য হয়েছেন তারা আমার চেয়ে বয়সে ছোট। মানসম্মান নষ্ট করেতো আর রাজনীতি করতে পারবো না, এর জন্য আজ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে এবং দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আতাউর রহমান আরো বলেন, তিনি এবং তার মতো অন্যান্য ত্যাগী নেতারা নবগঠিত আহবায়ক কমিটিতে স্থান পাননি। তিনি দাবি করেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আফরোজা খান রিতা নিজের পছন্দের লোকজন নিয়ে নতুন কমিটির অনুমোদন করেছেন, যেখানে ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রামে জেল-জুলুমের শিকার হওয়ার পরও ত্যাগী নেতাদের কোনো স্থান হয়নি।
তারেক রহমানের নির্দেশে শুধু আমার নাম রাখা হয়েছে, তাছাড়া সভাপতির লোকজন দিয়েই কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে। দলের সবার চাইতে এখন আমি বয়োজ্যেষ্ঠ। নেতা যদি হই মান ইজ্জত নিয়েই হব তাছা এমন নেতা হওয়ার আমার দরকার নেই। দল করতে এসে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়েছি। জেল-জুলুম খেটেছি। এখন অসম্মানিত হলে আমার কর্মীদের কাছে কি জবাব দিব ?
আতা আরো অভিযোগ করে বলেন, নবগটিত কমিটির সদস্য গোলাম আবেদীন কায়সার তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর দেশের বাহিরে ছিলেন। ১৫ বছর পর তাকে দেশে এনে আহবায়ক কমিটির মেম্বার বানিয়ে দিল। অপর সদস্য সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন তার বাড়ি শিবালয় উপজেলায়। তার নেই নিজস্ব কোন কর্মী সমর্থক।
আত আরো বলেন, বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়া হোসেন ওয়ান ইলিভেনের সম যিনি দলকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তার ছেলে বাবলুকে কমিটিতে রাখা হলো না। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মইনুল ইসলাম খান শান্ত তাকেও কমিটিতে রাখা হলো না।
আতা বলেন, ওনারা (আহবায়ক) অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য তার লোকজনকে কমিটিতে নিয়েছেন। আমাকে পরিকল্পিতভাবে তিন নং সদস্য বানানো হয়েছে যাতে পরবর্তীতে সদস্যসচিব বানাতে আমি বাদে উপরের দুইজনকে বানাতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি খন্দকার আকবর হোসেন বাবুল, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জামিলুর রশিদ খানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।