নিজস্ব প্রতিনিধি, ১৪ জুলাই:
মানিকগঞ্জে যমুনার বাড়তে শুরু করেছে। এতে ষোল কোটি আটত্রিশ লাখ পচাশি হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলার চার হাজার চার শত সাতষট্রি হেক্টর জমির ফষল পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলায় দুই দফায় পানি বৃদ্ধিতে উনিশ হাজার নয়শত তেষট্রি জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানিকগঞ্জে (১৪ জুলাই) আগের ২৪ ঘন্টায় ২১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসাণ অধিদপ্তরের উপ- সহাকারি কৃষি কর্মকর্তা গ্যানেশ চন্দ্র বলেন, মানিকগঞ্জে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফষল বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বোনা আমন, আউশ, ঢেরশ, বেগুন, পটল, জিংগা, ঝালি কুমড়া, মরিচসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেতে বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ১৩ জুলাই পর্যন্ত চার হাজার চার শত সাতষট্রি হেক্টর জমির ফষল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আমাদের মোট ফষলি জমির ৮.৮৯% জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের ফারিরচর গ্রামের কৃষক বদর উদ্দিন বলেন, ১৫৭ শতাংশ জমিতে রোপা আমন চাষ করেছি। কিন্তু বন্যার পানিতে সব তলিয়ে গেছে। এতে আমি ফষল ঘরে তুলতে পারব না।
সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটী গ্রামের লেবু মিয়া বলেন, ৫০ শতাংশ জমিতে বেগুন চাষ করেছি। ভাল ফলনের পাশাপাশি দামও ভাল পেয়েছিলাম। কিন্তু ২ দিন আগে আমার বেগুন ক্ষেতে বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আমার উৎপাদন খরচ উঠবে না।
সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমার উপজেলায় ভুট্রা, বোরো আমন, আউশ, ঝালি কুমড়া, ডেরশ, মরিচ ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে প্রণোদনার জন্য আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাব।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মো. শাজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, প্রথম দফায় চার হাজার বাষট্রি হেক্টর ফষল পানিতে তলিয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উনিশ হাজার নয়শত তেষট্রি জন কৃষক। এতে ধান ও সবজিসহ প্রায় ষোল কোটি আটত্রিশ লাখ পচাশি হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর গত কয়েকদিন দিনে চার শত পাঁচ হেক্টর জমির ফষল তলিয়ে গেছে। ২য় দফায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা আমরা আগামী সপ্তাহে করব। আর প্রথম দফার ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা আমরা ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১৪ জুলাই ২০২০।