মানিকগঞ্জে গবাদি পশুর হাট জমে উঠেছে

সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ১২ জুন:

মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানের স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। ঈদের আর কয়েক বাকী থাকলেও এসব হাট ছাড়াও কৃষক ও খামার থেকে ক্রেতারা পছন্দের গরু কিনতে ভিড় করছেন। তবে অনেক কৃষকই অভিযোগ করে বলেন, ক্রেতারা আসছেন, দখেছেন দাম পরখ করে দেখছেন। কিন্তু পশু কিনছেন না। তবে এবার পশুর হাটগুলিতে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা দাম এবং দেশী গরুর চাহিদা বেশী রয়েছে।

অপরদিকে মানিকগঞ্জ জেলায় এবার পশুর চাহিদার বেশী কোরবানী পশু মোটা তাজাকরণ করা হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় পশু ঈদকে সামনে রেখে অবাধে দেশে আনলে দেশীয় খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলায় চলতি ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১ লাখ ২১ হাজার ৫ শত ৪২টি পশু লালন পালনের লক্ষ মাত্রা ছিল। সেখানে পশু লালন পালান করা হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৩ শত ৩০টি। চাহিদার চেয়ে ৭ হাজার ৭৮৮টি পশু বেশী প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার বেশীর ভাগ গ্রামেইর প্রতিটি বাড়িতেই গরু, ছাগল ও ভেড়া লালন পালন করে। বিশেষ করে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছর এখানকার কৃষকরা গরু মোটা তাজা করণ করে থাকে। এ বছর ৭টি উপজেলায় ১৭ টি গরুর হাট বসবে।

হরগজ গরুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে হাজির হচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতাগণ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গরু, ছাগল ও ভেড়া বাড়তে থাকে।

ঢাকার জপুরা এলাকা থেকে এসেছেন ইদ্রিস আলী, তিনি বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন হাটে গরু কিনলে, দামের উপর হাসিল নেন। কিন্তু জেলার হরগজ হাটে আসলে সারা বছর ২ শত টাকা এবং ঈদের জন্য মাত্র ৫ শত টাকা নিচ্ছে। তাছাড়া এখানকার গরু বেশীর ভাগই কৃষকের । তাই এ হাটে কিনতে আসছি।

ঢাকার আশুলিয়া এলাকার কফিল বেপারী বলেন, আমি হরগজ হাটে আসছি। এখান থেকে গরু কিনে নিয়ে ঢাকার হাটে বিক্রি করব। আমি প্রতি হাটে ২০- ৩০ টি গরু কিনে থাকি। এ বছর দেড় লাখ টাকা থেকে ২ লাখ টাকার গরুর বেশী চাহিদা রয়েছে।

সিংগাইর উপজেলা থেকে হাসেম বেপারী আসছেন ৮ টি ষাড় নিয়ে । সবগুলি তার পালের। ৪ মন ওজনের ২ টি বাকী ৬ টি ১০ মন ওজনের । সবাই আসছেন দাম বলছেন । কিন্তু কিনছেন না। এ ব্যাপারি আরো বলেন, এখানে অনেকে গরু কিনে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।

হরগজ গরুর হাট ইজারাদার এবং হরগজ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন খান জ্যোতি বলেন, আমাদের হাটে জেলার অন্যতম প্রধান বড় পশুর হাট। এ হরগজ হাটে, জেলার লোকজন ছাড়াও, ঢাকা, আশুলিয়া, ধামরাই, সাভার, কেরানিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতারা আসেন। আমাদের হাটের নিরাপত্তা ও হাসিল মাত্র ৫শত টাকা থাকায় বেশী আসে ক্রেতা ও বিক্রেতাগন।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাট জমে উঠেছে। জেলার ৭টি উপজেলার মোট ১৭ টি পশুর হাট বসেছে। প্রতিটি হাটে জাল টাকা সনাক্ত করণ মেশিন, প্রাণী ডাক্তার, আইন শৃংখলার বাহিনীর টহল থাকছে।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১২ জুন ২০২৪।

আরো পড়ুুন