সাটুরিয়া প্রতিনিধি. ২ জুলাই:
চলন বলন এবং আয়েশি খাবার খাওয়ানোর জন্য নাম রেখেছেন মানিকগঞ্জের সাহেব। ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি কে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ নয়া পাড়া গ্রামের নোমাজ আলী ৪ টি বছর ধরে লালন- পালন করে আসছেন। আসন্ন ঈদুল আযহার হাটে এটি হবে অন্যতম চমক। নোমাজ আলী দাবী করছেন এ ষাড়টির ওজন ৪০ মণ, দাম হাকাচ্ছেন ৩০ লক্ষ টাকা । তবে বাড়ি থেকে কেউ কিনতে চাইলে দর দামে বিক্রি করবেন।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার লালনকৃত পশু ৮-১০ বছর ধরেই গরুর হাটে ভাইরাল হয়ে আসছে। গরুরহাটসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমেও প্রচার হয়ে আসছে এ জেলার লালনকৃত বিশাল আকৃতির ষাঁড়গুলি। বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এবাও চমক নিয়ে আসার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন মানিকগঞ্জের সাহেব নামের বিশাল আকৃতির এ ষাঁড়টি। সম্পুর্ণ দেশীয় পদ্বীতে ৪ বছর ধরে লালন পালন করে আসছেন।
গত সোমবার (২৮ জুন) সকালে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ নয়া পাড়া গ্রামের নোমাজা আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়. গোটা ২০-৩০ জন মানুষের জটলা। কেউ সেলফি তুলছেন। আবার কেউ শুধু ষাঁড়টির ছবি তুলছেন।
মানিকগঞ্জের সাহেব নামের ষাঁড়ের মালিক নোমাজ আলীর বড় পুত্র হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিদিনি সাধারণ গো খাদ্যের পাশা- পাশি মালটা, পিয়ারা, কলা, মিষ্টি কুমরাসহ বিভিন্ন ফল নিয়মিত খাওয়াচ্ছি। আয়েশী খাবারের পাশা- পাশি দিনে কয়েকবার গোসল করানো হয় নামী- দামী ব্যান্ডের সেম্পু দিয়ে। তার জন্য ৩ টি ফ্যান সবসময় চালু রাখছি। তাই তার নাম দিয়েছি মানিকগঞ্জের সাহেব।
নোমাজ আলীর ছোট পুত্র আব্বাস বলেন, সাহেব নামে এ আলোচিত ষাঁড়টি (২৮ জুন) পর্যন্ত লম্বায় ৯ ফুট ৯ ইঞ্চি, পেটের ভেড় ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৬ ফুট। এর দাত রয়েছে ৬টি।
প্রতিদিন শত শত মানুষ এক নজরে দেখার জন্য আসছেন নোমাজ আলীর বাড়িতে। কেউ সেলফিসহ ছবি তোলে আপলোড দিচ্ছেন ফেসবুকে। খামারি সাথে কথা বলতে চাইলে সরাসরি কথা বলতে পারেন এই নাম্বারে ০১৭৪৫৭০০৭৬৮।
ষাঁড়টিকে দেখতে আসা দুলাল বলেন, অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি অনেক বড় একটি ষাঁড় লালন পালন করে আসছেন হরগজ গ্রামে। তাই আজকে পরিবার নিয়ে দেখতে আসলাম।
ষাঁড়ের মালিক নোমাজ আলী বলেন, ৪ টি বছর ধরে অনেক কষ্ট করে আমার ষাঁড়টি লালন পালন করে আসছি। গত বছরও বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা ও বন্যার কারনে ভাল দাম পাইনি বলে গত বছর বিক্রি করতে পারি নাই। এখন ত লকডাউন চলছে দুশ্চিন্তায় আছি কি হবে এ বছর।
নোমাজ তার ষাঁড়টিকে জেলার সবচেয়ে বড় ওজনের ষাঁড় দাবী করে আরো বলেন, ২৮ জুলাই পর্যন্ত মানিকগঞ্জের সাহেব এর ওজন ৪০ মণ। দাম হাকাচ্ছেন ৩০ লক্ষ টাকা। তবে বাড়ি থেকে কেউ কিনতে চাইলে দর দাম করে বিক্রি করব।
মো. শামিম মুল্লা নামে স্থানীয় পশু চিকিৎসক বলেন, নোমাজ আলীর ষাঁড়টি ৪০ মণ ওজনের কিছু কম হবে। আমার ধারনা ২৮-৩০ মণ হতে পারে। তবে এ ষাঁড়টি খুব শান্ত সভাবের। করোনার প্রভাবে এ বছর বিক্রি করতে না পারলে মালিক খুব ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, সাটুরিয়া উপজেলা গাবতুলির হাটের কাছে হওয়ায় প্রতি বছরই ঈদকে সামনে রেখে পশু মোটা তাজা করে থাকেন। তাছারা প্রতি বছরই বেশী ওজনের ষাঁড় লালন পালন করে আলোচিত হয়ে আসছে। সম্পুর্ণ দেশীয় পদ্বতিতে এ মানিকগঞ্জের সাহেব নামে ষাঁড়টি লালন পালন করেছেন। কোন সৌখিত ক্রেতা এ ষাঁড়টি উপযুক্ত দাম দিয়ে কিনলে খামারীরা উৎসাহিত হবে।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ / ২ জুলাই ২০২১।