মানিকগঞ্জের চাষীরা রোপা আমন চাষে ব্যস্ত

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ১৩ সেপ্টেম্বর:

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মানিকগঞ্জের চাষীরা রোপা আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দু দফা বন্যায় রোপা আমনের বীজ তলা ও কিছু কিছু রোপা আমন নষ্ট হয়ে যায়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় কৃষকরা এখন রোপা আমনের চারা রোপণ করছেন।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জনানায়, চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা যে ভাবে রোপা আমন চাষ করছেন তাতে লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশী আবাদ হবে।

মানিকগঞ্জ সদর, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলায় বন্যায় পানি নেমে যাওয়া কৃষি জমিতে রোপা আমন চাষ করছেন।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামের আলতাফ মিয়া বলেন, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ১৭০ শতাংশ জমিতে রোপা আমণ চাষ করেছি।

জান্না গ্রামের ফরিদ বলেন, ৩ হাজার টাকা খরচ করে ৫ শতাংশ জমিতে রোপা আমণের বিজতলা করেছিলাম। বন্যায় সব নষ্ট হয়েগেছে। ১৪০ শতাংশ জমিতে রোপা আমনের জন্য আমার ১২ হাজার টাকা খরচ করে রোপা আমনের চাড়া কিনতে হয়েছে। তাও এক বুক আশা নিয়ে রোপা আমন চাষ করছি।

সাটুরিয়া উপজেলার ফকুরহাটি ইউনিয়নের সাজাহান বলেন, বন্যায় আমার সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি কমে গেছে। আজকে ২৫ শতাংশ জমিতে রোপা আমন চাড়া রোপণ করেছি। আমি আরও ৭৫ শতাংশ জমি চাষ করব।

রোপা আমন চাষী মফিজুল ইসলাম বলেন, রোপা আমনের চাড়া বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। চাড়ার দাম বেশী হাতে টাকাও নাই। তাই দ্বার দেনা করে রোপা আমনের চাড়া চাষ করছি।

সোহরাব হোসেন বলেন, করোনার সময় কাজ করতে পারি নাই। করোনা যেতে না যেতেই আসল বন্যা। আমরা কৃষকরা ভীশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। রোপা আমন চারা রোপণ করছি। আল্লাহ দিলে রোপা আমনের ফলন ভাল হলে আমারা আবার ঘুরে দারাব।

নাটর জেলা থেকে শ্রমিক মিজান বলেন, করোনা ও বন্যার কারনে আমাদের হাতে কোন কাজ ছিল না। বন্যার পানি নামতে শুরু করায় আমারা মানিকগঞ্জে কাজ করতে আসছি। ২ বেলা খাওয়াসহ রোজ ৫০০ টাকায় রোপা আমনের চাড়া রোপণ করছি।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মো. শাজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, মানিকগঞ্জে দু দফা বন্যায় কৃষকদের রোপা আমন বীজ তলা নষ্ট হয়েগেছে। বন্যার পানি থাকার সময় কৃষকরা বাড়ির উঠানে বীঝতলা করেছিল। এখন বন্যার পানি কমে যাওয়ার সংগে সংগে রোপা আমন চাষ করছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত রোপা আমন চাষীদের মাঝে রোপা আমনের চাড়াও বিতরণ  করেছি।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০।

আরো পড়ুুন