ভাল নেই মানিকগঞ্জের কলা চাষিরা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ২৩ আগষ্ট :

দু, দফা বন্যায় ভাল নেই মানিকগঞ্জের কলা চাষিরা। বনার পানিতে প্রায় সব কলা গাছ ডুবে মরে গেছে। এতে জেলার ৭টি উপজেলার কলা চাষীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলার সাটুরিয়া, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ সদর, হরিরামপুর, দৌলতপুর, ঘিওর ও শিবালয় উপজেলার বৃস্তীর্ণ জমিতে বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করে থাকে। চলতি বছরে প্রায় ৫ শত হেক্টর জমিতে কলা চাষ করছিল কৃষকরা। এতে ৪ হাজার ৮শত ৩৮ মেট্রিক টন কলা নষ্ট হয়ে গেছে।

জেলার সাটুরিয়া উপজেলার জান্না গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শত শত হেক্টর জমির কলা গাছ মরে গেছে। কিছু ক্ষেত থেকে বন্যার পান নেমে যাওয়ায় কৃষক পচে যাওয়া কলা গাছ কেটে ফেলে দিচ্ছেন।

কলা চাষি ফারুক হোসেন বলেন, প্রতি একর জমিতে ১ হাজার থেকে ১২ শত চাড়া রোপণ করে থাকি।  প্রতি শতাংশ কলা চাড়া রোপণ থেকে বিক্রির আগ পযন্ত খচর হয় ১২ শত থেকে ১৫ শত টাকার মত। চাড়া রোপণ থেকে বিক্রি করার উপযোগী করতে প্রায় ১২- ১৪ মাস লেগে যায়। এ বছর  ১ শত শতাংশ জমিতে কলা চাষ করেছিলাম। আমার প্রায় ৮০ শতাংশ জমির কলা চাড়া মরে গেছে। এতে আমার এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা লোকসা হয়েছে।

কামতা গ্রামে কলা চাষি  ডা. মো. কুলম উদ্দিন বলেন, এ বছর ১৬০ শতাংশ জমিতে  শুভরি কলা চাষ করেছিলাম। বন্যার পানতে সবই নষ্ট হয়ে গেছে। এত আমার প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার কলা বন্যার কারনে নষ্ট হয়ে গেছে।

দৌলতপুর উপজেলার ধামশর ইউনিয়নের নাটুয়াবাড়ি গ্রামের কলা চাষি  আব্দুস সালাম বলেন, আমার ৫০ শতাংশ জমিতে কলা চাষ করেছিলাম। আমার কলা প্রায় পাকার উপযোগী হয়েছিল। এতে ৫ শত কলার কাইন ছিল। এক লক্ষ টাকা দাম বলেছিল কলার বেপারীরা। কিন্তু বন্যার কারনে আমার কলা ও গাছ ডুবে গেছে। দ্বার দেনা করে ৭৫ হাজার টাকা খরচ করে কলা চাষ করেছিলাম। কলা বিক্রি করতে পারলে আমার ২৫ হাজার টাকা বিকি করতে পারতাম।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মো. শাজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, জেলার সব কলা চাষীরা সম্পুর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হননি। কোন কোন কলা চাষীদের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সব কলা ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকা করা হয়েছে। পর্বতীতে তাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করা হবে।

আরো পড়ুুন