সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ২৭ নভেম্বর:
জুলাই- আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পেটুয়া বাহিনী ছাত্রলীগ, য্বুলীগ ও পুলিশলীগের গুলিতে আহত তিনজনের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন সাটুরিয়ার নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন।
বুধবার সকালে উপজেলা মিনি হলরুমে জুলাই আগষ্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যত্থানে আহত ও শহীদদের স্বরণে তাদের স্বাজনদের উপস্থিতিতে স্বরণসভায় এসব কথা বলেন ইউএনও।
উপজেলা প্রশাসশেনের পক্ষ থেকে পুলিশের গুলিতে আহত মো. জাহেদুর রহমান, সজীব হোসেন ও মিজানুর রহমান মিজানের সুচিকিৎসার জন্য সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
আহতদের মধ্যে সজীব হোসেন বলেন, মানিকগঞ্জের খালপাড় আন্দোলনরত অবস্থায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আমাদের উপর লাঠি ও চাপাতি দিয়ে আগাত করে। পরে পুলিশ এসে গুলি করলে আমার বাম হাত ও পায়ের দুটি আঙ্গুল পরে যায়।
ছাত্র জনতা আন্দোলনে ধামরাইয়ের হার্র্ডি স্কুল এন্ড কলেজে আন্দোলনরত অবস্থায় সাটুরিয়ার দরগ্রাম গ্রামের শহীদ মো. আরিফুল ইসলাম সাদ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। তার নামে দরগ্রাম বকুল তলাকে সাদ চত্ত্বরকে সুন্দর্য্যবর্ধন ও দরগ্রাম সরকারি ভিকু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান ভবনকে সাদ চত্ত্বর করার দাবী জানান সাদের চাচা মো. সাগর হোসেন। পরে শহীদ সাদ ও আহতের সুস্বাস্থ্য কামনায় প্রার্থনা করা হয়।
স্বরণসভায় বক্তব্য রাখেন সাটুরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর আহম্মদ, সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা, মো. মামুন উর রশিদ, শহীদ সাদের চাচা মো. সাগর হোসেন, সাটুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকেই।
এসময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ছবির ক্যাপশন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে শহীদ ও আহত তিন শিক্ষার্থীর পাশে দাড়ালেন সাটুরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও অন্যান্য অফিসার বৃন্দ।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২৭ নভেম্বর ২০২৪।