সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ১৯ আগষ্ট:
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়তনের জমিদার বাড়ি বালিয়াটী জমিদার বাড়ী। প্রত্নতত্ত বিভাগের অনত্যতম প্রধান এই বালিয়াটী জমিদার বাড়ি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চ মাস থেক সকল পযটকদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে এ জমিদার বাড়ীতে। জমিদার বাড়ীর ১৩ জন কর্মচারী এ বন্ধের সময় পতিত জায়গায় বিভিন্ন সবজির চারা রোপণ করেছে।
বালিয়াটী জমিদার বাড়ীটি মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটী ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি বাংলদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়তনের জমিদার বাড়ি। প্রত্নতত্ত অধিদপ্তরের অধীনে এ বাড়িটি পরিচালিত হয়ে আসছে। সরকারের নির্দেশনায় মার্চ মাস থকে জমিদার বাড়িটি ১৩ ই মার্চ মাস থেকে সকল পযটকদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১৯ আগষ্ট) সকাল ১০ টার দিকে বালিয়াটী জমিদার বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়। লতিফ নামে এক জমিদার বাড়ির পরিচারক জমিদার বাড়ির আঙ্গিনার খালি জায়গায় সবজির চাড়া পরিচর্জার কাজে ব্যাস্ত দেখা যাচ্ছে।
লতিফ জানান, আমাদের জমিদার বাড়িটি লকডাউনের পর আমারা শুধু ভিতর আগাছা পরিস্কার করে সময় পার করতাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছেন এক ইঞ্চি জায়গাও খালি থাকবে না। এ ঘোষনার পর আমাদের ঢাকার অফিসের নির্দেশনা অনুয়ায়ী আমাদের জামিদার বাড়ির সব খালি জায়গায় সবজি চারা রোপণ শুরু করি।
মাসুদ নামে জমিদার বাড়ির আরেক পরিচারক বলেন, জমিদার বাড়ির অনেক খালি জায়গায় রয়েছে, এসব জায়গায় আমরা বেগুন, ঢেরশ, ঢাটা, পুই শাক, পেপে, বরবডি চাষ করা হয়েছে। ফলনও আসতে শুরু করেছে।
জমিদার বাড়ির জৈষ্ঠ পরিচারক ইব্রাহিম বলেন, আমাদের এ সবজি উৎপাদনের জন্য আলাদা কোন বরাদ্ধ নেই। নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে সবজি চাষ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখানকার উৎপাদিত সবজির এক ভাগ দুস্থ্য পরিবারের মাঝে বিতরণ করব, এক ভাগ আমরা ১৩ জন খাব, আরেক ভাগ স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠাব।
মিজান আরেক পরিচারক বলেন, জমিদার বাড়ি পযটকদের জন খোলা থাকলে, আমরা ১৩ ষ্টাফদের মধ্যে কাজ ভাগ করে সকাল থেকে বিকাল পযন্ত ডিউটি করি। জমিদার বাড়ির সকল কাযক্রম বন্ধ থাকায় আমাদের কাজ ছাড়া ভাল লাগত না। কিন্তু আমরা সবজি চাষ করতে স্যারদের নির্দেশ থাকায় এ কাজ করতে আমাদের ভালই লাগছে।
বালিয়াটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন, বাংলার মাটির এক ইঞ্চিও খালি রাখবেন না। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বালিয়াটী জমিদার বাড়ির কর্মচারীবৃন্ধ খালি স্থানে সবজি চাষ করেছেন তা অবশ্যই প্রসংনীয় কাজ।
এ ব্যাপারে বালিয়াটী জমিদার বাড়ির প্রধান কর্মকর্তা গ্যাস কিলন টেকনেশিয়ান সঞ্চয় বড়ুয়া বলেন, জমিদার বাড়ির খালি জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা দিয়েছেন এক ইঞ্চিও জায়গায় খালি থাকবে না। জমিদার বাড়ি খোলা হলেও সবজি চাষ করা হবে। এতে আমাদের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হবে না। বরং সবজি চাষ করা তে আমাদের জমিদার বাড়ি সুন্দয আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১৯ আগষ্ট ২০২০।