প্রতীক ইজাজ, ৯ জুলাই.
বাবু ভাই আমার প্রিয় সম্পাদক। আমাদের পারিবারিকভাবে খুব ঘনিষ্ঠ। একই পাড়ায় বাড়ি। বাবু ভাইদের বাড়ি পার হয়ে আমাদের বাড়ি।
বড় ভাইয়ের কাছে ছোটবেলা থেকেই বাবু ভাইয়ের গল্প শুনতাম। অনেক গল্প- ব্যক্তিজীবন, রাজনীতি, বিশ্ববিদ্যালয়, হলের জীবন, সাংবাদিকতা। বড় হয়ে দেখলাম, জানলাম। সাংবাদিকতায় এসে আরো নিবিড়ভাবে জানলাম।
আমার দেশে কাজ করার কথা ছিল, হয়নি। সকালের খবরেও হওয়ার কথা ছিল না, হল। শুরুর তিন মাসের মত বাবু ভাইকে পেয়েছিলাম। এই অল্প সময়ে যেটুকু বোঝার, বুঝেছি। গণমাধ্যমে নানা কুটিলতা জটিলতা অনৈতিকতা- এসবের বাইরে দেখেছি, পেয়েছি।
আমার দীর্ঘ সংবাদপত্র জীবনে বাবু ভাইয়ের সম্পর্কে আমি কোন নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত কোন অপবাদ, অভিযোগ পাইনি।
বাবু ভাইয়ের সঙ্গে আমার আড্ডা হয়নি, খুব বেশি কথাও না। ওই তো মাত্র তিন মাস। কিন্তু গল্প শুনে শুনে বড় হওয়া, পরিবার থেকে বাহির, বাহির থেকে একেবারে কাছে থেকে দেখা- সব মিলিয়ে আমার খুব মায়া লেগেছে বাবু ভাইয়ের জন্য। তার মত এমন ভদ্র ও ভালো মানুষের এই জটিল সময়ে টিকে থাকা কিংবা স্বচ্ছন্দময় বেঁচে থাকা- খুব কঠিন, খুউব।
তবুও আপনাকে আমাদের দরকার ছিল। খুব বেশি সময়তো আপনার যাওয়ার মত হয়নি। তবুও গেলেন। এই যাওয়াকে না বলার সাধ্য আমাদের নেয়।
দোয়া করি বাবু ভাই আপনার আত্মা শান্তিতে থাক। আপনার স্বজন পরিবারের সদস্য আপনাকে হারানোর শোক বইবার শক্তি পাক।
এমনিতেই মনটা খারাপ। নানা ব্যক্তি কষ্ট। করোনা মহামারী। মানুষ মরছে, কাঁদছে। এরমধ্যে আপনার এভাবে চলে যাওয়া- মনকে সান্ত্বনা দিতে পারছি না, বোঝাতেও না। বারবার আপনার মুখ মনে পড়ছে। চোখ চশমা লম্বা চুল- আপনাকে মনে পড়ছে বাবু ভাই, খুউব মনে পড়ছে।
বাবু ভাই, আমাদের ভালবাসা শ্রদ্ধা নেবেন
যদি কোন ভুল অপরাধ করে থাকি, ক্ষমা করে দিয়েন।
দৈনিক দেশ রুপান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি প্রতীক ইজাজের ফেসবুক থেকে নেওয়া।
মানিকগঞ্জ২৪/ ৯ জুলাই ২০২০।