পাতে পরেছিল কালোজিরার ইলিশ

শওকত মিলটন, ২৫ জুন:

আপনারা যখন মানে বাংলাদেশে, সবাই ঘুমাচ্ছিলেন, ঠিক তখন আমাদের দুপুরের খাবারের আয়োজন। এক বেলাই ভাত জোটে কপালে। তাই সেই এক বেলার খাবার আয়োজনটি মনের মতো হওয়া চাই। আর আমিও বেশ আটঘাঁট বেধে খেতে বসি। এক সময় কোমরের বেল্ট খুলে খাওয়ার একটা বদনাম ছিলো। তো এখন সে বদনাম প্রায় ঘুচে এসেছে। কারনে অকারনে ঘোরাফেরার একটা ব্যারাম ছিলো।

দশ বছরে এগারো বার স্পেন যাবার একটা সুযোগ হয়েছে। লোকজন এমনও ভেবেছে বার্সিলোনায় আমার বাড়ী আছে। তো সেখানেই দিলীপ ভৌমিক, ভৌগলিকভাবে যিনি ভারতীয়, আদতে ঘটি। তার বৌ রুমাদি। এমন আড্ডবাজ বাঙ্গালী নারী বার্সিলোনায় আর একজন পাইনি। সব্যসাচী মানুষ। তো এক দশকে দিদির বাড়ীতে একবার খেয়েছি। সেই একবারেই দিদি ফাটিয়ে দিলেন।

কালোজিরায় ইলিশ। আমিতো খেয়ে ডাইনিং টেবিল থেকে পরে যাচ্ছিলাম। সবাই ভাবছিলো জিন পরীর আছরের কারনে ওই দশা। আসলে স্বাদ মুখে তারিয়ে বেড়াচ্ছিল। আমি খাই আর ভাবি তাজা ইলিশ দিয়ে এটা করলে কেমন হবে? দেশে ফিরে মানে তখনও দেশান্তরী হইনি। দিদিকে ফোনে ধরিয়ে দিলাম বীথিকে। দিদি শিখিয়ে দিলো ঘটিদের ইলিশ রান্না। এখন পর্যন্ত আমার বিশ্বাস হিন্দু রান্না নামে আমরা যা চিনি সেটাই প্রকৃত বাঙ্গালী রান্না। তাই আমরা এসব খাবারের চর্চাটা করে আসছি।

তো দুপুরের টেবিলে দেখি ইলিশ।কালোজিরা বেগুনে চান করছে। কদিন আগে বেশ ধর পাকর করে পাঁচ পাউন্ডের যে জোড়া ইলিশ কিনেছি তারই কয়েক খানা। তবে এ ইলিশ ইরাবতীর। দুপুরের খাবারে আরও ছিলো ঘৃত কাঞ্চন শাক ছোট চিংড়ির ঝোল, পেঁপে মুগডাল। একটু টক দই শেষ পাতে। আর বলবেন না দাদা, সে যা খেলুম!!

প্রবাসী সাংবাদিক, শওকত মিলটন এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।

 

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২৫ জুন ২০২০।

আরো পড়ুুন