শিবালয় প্রতিনিধি, ৬ জুলাই:
পদ্বাসেতু ও ঈদ উপলক্ষে মটরসাইকেলে নিষেধাঙ্গা থাকায় পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌরুটে বেড়েছে মোটরসাইকেল আরোহীদের সংখ্যা। সেই সাথে যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে কোন প্রকার ভোগান্তী ছাড়াই পাড় হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহনগুলি। কর্তৃপক্ষ বলছেন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলেই যানবাহন কম থাকায় পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় স্বাস্তি ফিরেছে।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশ পথ পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌরুট। ঈদের আগে ও বিভিন্ন মৌসুমে হাজার হাজার যানবাহন পার হত এই নৌ পথে। গেল রোজার ঈদের ৫-৬ দিন পূর্বে থেকে সার্বক্ষণিক সহ¯্রাধিক যানবাহন অপেক্ষা করত ফেরি পারাপারের জন্য। কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পরই পাল্টে যায় অবস্থা। কমতে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। তবে ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাড়তে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। তবে এর মধ্যে মটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশী।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ ব্যাবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, ঈদের আগে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ ও যানজটের সেই চিরচেনা দৃশ্য এবার নেই এ নৌরুটে। পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে দেখা দিয়েছে ভিন্ন চিত্র। তবে পদ্মা সেতুতে মটরসাইকেল নিষেধাঙ্গা থাকায় এ নৌরুটে বাড়ছে দুই চাক্কার বাহনের। এদিকে ঈদের আগে ও পরে মিলে ৭ দিন এক জেলার মটরসাইকেল অন্য জেলায় যেতে পারবে না এমন প্রঙ্গাপন আসায় আরও চাপ বেড়েছে। তবে সব মিলিয়ে যানবাহন এর আগের যে কোন উৎসবের চেয়ে অনেক কম। ফলে আমরা নির্বিঘেœ পার করতে পারছি ঘুরমুখো মানুষদের। বুধবার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ২ পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৮ শত ২০ টি যানবাহন পার হয়েছে পাটুরিয়া থেকে। এর মধ্যে মটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশী।
মানিকগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পাটুরিয়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী বুধবার ৬ টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় কোন যাবহানের দীর্ঘ সারি নেই। ঘাটে আসা মাত্রই ফেরিতে উঠতে পারছে যানবাহন। পদ্ধা সেতু উদ্বোধনের আগে ২-৬ ঘন্টা অপেক্ষা ছাড়া কোন যানবাহন নদী পার হতে পারত না।
বিআইডাব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যলয়ের ডিজিএম মো. খালিদ নেওয়াজ জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের তেমন চাপ নেই পাটুরিয়ায়। নৌরুটে ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় ৩ ফেরি বসিয়ে রাখা হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় এ নৌরুটে চলাচলকারী ফেরি কোন প্রকার দুর্ভোগ ছাড়াই ফেরিতে উঠতে পারছেন।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ৬ জুলাই ২০২২।