প্রতিনিধি, ১১ ডিসেম্বর
ধাক্কা দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেলে দেওয়া যাবে না- ১০ ডিসেম্বর তা প্রমাণীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি রবিবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে। এখন সেমি ফাইনাল খেলা চলছে। ফাইনাল খেলা হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে, আগামী বছরের জানুয়ারী মাসে। দশ তারিখ তো চলে গেল কোথায় বিএনপির নেতারা। বেগম জিয়া তো ক্ষমতা দখল করতে পারল না, উনি যেখানে ছিল সেখানেই আছে। তারেক জিয়া তো মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে গিয়েছে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর চলে গেল। তারেক রহমান আসবে কোন বছরে? মানুষ বাঁচে কয় বছর। আন্দোলন হলে রাজপথ, জনপথ, শহর, পাড়া-মহল্লা, ইউনিয়ন ও জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের রির্র্জাভ কমে গিয়েছিল এখন বাড়ছে। তিন মাসের আমদানী রিজার্র্ভ থাকার কথা থাকরেও আমাদের হাতে এখন ৫ মাসের রিজার্ভ হাতে আছে। মানুষ কষ্ট করে এমন কোন মেগা প্রকল্প শেখ হাসিনা গ্রহন করবে না। বিশ্ব সংকট, তবুও ভয় পাইনি আমরা। দেশে খাবার মজুদ আছে। দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। আমাদের লক্ষ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। আমার সেই লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষ কয়েকদিন লোডশেডিং এ ভোগান্তি পোহালেও এখন কোন লোডশেডিং নেই।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিদেশীরা সহিংসতা প্রকাশ করেন। যখন পুলিশের উপর হামলা হয় তখন আপানারা কই থাকেন। আপনারা ইযরাইলে গুলি থামাতে পেরেছেন। দুষ্ট ছেলে ইযরাইল আপনাদের মানে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির আমলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। তাদের আমলে বিএনপি নেতাদের পকেটের উন্নয়ন হয়েছে। তিনি খেলা হবে বলে আরো বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ফেল করেছে। বিএনপির ৫ জন সংসদ সদস্য পদত্যাগ গৃহিত হয়েছে। বাকী জন বিদেশে থাকার কারনে করতে পারে নাই। পরে তারাও করবে। তাই বএনপির এমপিদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কে ‘ভুল’। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। বিএনপির সাতজন চলে গেলে সংসদ অচল হয়ে পড়বে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এর জন্য দলটিকে অনুতাপ করতে হবে। এতে সংসদ অচল হবে না। এ বুদ্ধি যারা দিয়েছেন তারা অচিরেই পস্তাবে। বিএনপির ঘরে নেই গনতন্ত্র, তারা দেশে গণতন্ত্র কিভাবে আনবে। বিদেশী দূতাবাসে যারা সমালোচনা করেন, তাদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, বিএনপির জাম্বু জেট মার্কা কমিটি কবে হয়েছে। আপনারা জানেন।
পরে তিনি সম্মেলনর ২য় অধিবেশনে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আগামী ৩ বছরের জন্য অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের নাম ঘোষনা করেন।
সম্মেলনে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সালাম গোলাপ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ নাইমুর রহমান দুর্জয়সহ আরও অনেকেই।
মানিকগঞ্জ৪/ হা.ফ/ ১১ ডিসেম্বর ২০২২।