তারেক রহমান যাবজ্জীবনের আসামী, এতিমের টাকা চুরি করে খালেদা কারাগারে, সাটুরিয়ায় মির্জা আজম

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ২১ নভেম্বর:

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, তারেক রহমান শেখ হাসিনা কে গ্রেনেড হামলার দায়ে যাবজ্জীবনের আসামী, আর খালেদা জিয়া চুন্নি এতিমের টাকা চুরি করে কারাগারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী ক্ষমতায় তিনি এখন বাড়িতে আছেন। তারাই নাকি আবার ১০ ডিসেম্বর ক্ষমতায় যেতে যায়।

তিনি সোমবার বিকালে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রী বার্র্ষিক সম্মেলনে ফকুরহাটি মজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মির্জা আজম আরো বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পিতা মির্জা রুহুল আমিন রাজাকার ছিলেন। বিএনপি যে কর্মসূচি দিচ্ছে তার পাল্টা কর্মসূচি আমরা দিব। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই আমরা বিএনপি কে রাজপথে মোকাবিলা করে পরাজীত করব। আমি প্রত্যেক নেতাদের বলছি, নির্বচনের আগে কোন মানুষের সাথে খারাপ আচরন করবেন না। মারামারি করবেন না। নির্বাচন পর্যন্ত সবার সাথে ভাল ব্যাবহার করতে হবে।

মির্জা আজম এমপি বলেন, জিয়া ছিলেন একজন খুনি। তিনি ক্ষমতায় এসে রাজাকার দের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। শত শত মানুষকে তিনি ফাষির দিয়েছিলেন। আর খালেদা জিয়ার আমলে রংপুরে মঙ্গা হত। হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা যেত। আর আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মঙ্গা কে যাদুঘরে পাঠিয়েছে। ১২-১৪ বছর আগেও বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রান্তে কুড়ে ঘর দেখা যেত। আর এখন ৫০ হাজার টাকা পুরুস্কার ঘোষনা করেও বাংলাদেশের কোথায় কুড়ে ঘর পাওয়া যাবে না।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ কে উদ্দেশ্যে করে মির্জা আজম এমপি বলেন, ১০ ডিসেম্বর নাকি দেশ খালেদা জিয়ার কথা চলবে। কেউ বলছেন, তারেক রহমান নাকি ১১ নভেম্বর দেশে এসে সরাসরি বঙ্গভবনে উঠে দেশ চালাবেন। এমন কথা বলে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন।

মির্জা আজম এমপি বলেন, জিয়াউর রহমান ১১ নম্বরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। জিয়া ক্ষমতায় আসার পর ১১ হাজার যুদ্ধঅপরাধীদের মুক্ত করে দিয়েছিল। পাকিস্থানের নাগরিক গোলাম আযমকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর রেডিও টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নামসহ জয়বাংলা শ্লোগান বন্ধ করে দিয়েছিল। ঢাকায় প্রতিদিন কারফিউ জারী করে অনেক সেনা কর্মকর্তা ও ১৩ শত মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল।

মির্জা আজম এমপি বলেন, খুনি জিয়াই জামায়াতের রাজাকারদের দেশে আসার সুযোগ করে দিয়েচিল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে ওই রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে এ দেশের মাটিতে তাদের বিচার করা হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তেব্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিএনপি পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। বিএনপি এখন ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ কে ফেলে দিতে চায়। বিএনপি আওয়মী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ হিমালয়ের মত । ধাক্কা দিয়ে ফেলানো যাবে না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের বন বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, ছিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সহ আরও অনেকেই।

পরে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের মো. আফাজ উদ্দিন কে সাধারণ সম্পাদক ও মো. ফজলুর রহমান কে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২১ নভেম্বর ২০২২।

আরো পড়ুুন