সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ১১ আগষ্ট:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, কোন এক সময় দেখা যাবে, ডাক পরিবহনের জন্য গাড়ি পাচ্ছি না, রেল পাচ্ছি না, লঞ্চ পাচ্ছি না, তখন হয়ত আমি ড্রোন ব্যাবহার করব। অথবা যে কোন ভাবে প্রাপকের কাছে ডাক পাঠানোর ব্যাবস্থা থাকবে।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নের নতুন ডাকঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নির্মাণ কাজে নিম্নমানের হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সাথে এ ভবন পূণরায় নির্মাণ করার নির্ধেশ করেন। তিনি আরো বলেন, ডাক বিভাগ বছরের পর পশ্চাদপদ যায়গাটিকে যুগের সাথে তাল মিলানোর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার কারার কাজ চলছে।
তিনি আরো বলেন, ডাক বিভাগের এখন প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যার সক্ষমতা অর্জণ করছি। আমাদের সারা দেশে ৯ হাজার ডাক ঘর রয়েছে। যা কোন কুরিয়ার সার্বিসের নাই। আমাদের পিয়নরা বাড়ি এবং প্রতিটি মানুষকে চিনে। কিছু দিনের মধ্যে আপনারা মোবাইলে এসএমস পাবেন। চিঠি কোথায় এবং কোন পিয়নের কাছে আছে। আমাদের এই ডাকঘরের নাম দিয়েছি ডিজিটাল ডাকঘর।
এসময় মন্ত্রী বলেন, দেশের ডুবন্ত ডাক বিভাগকে জাগ্রত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ডুবান্ত নৌকা উদ্ধারের জন্য এ জায়গায় বসিয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশের সকল ডাক বিভাগকে ডিজিটাল ডাক বিভাগে রুপান্তর করা হচ্ছে।
মন্ত্রী এর আগে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দুটি বিদ্যালয়ের ডিজিাল কন্টেন্ট এবং পরে সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের ডিজিাটাল পল্লী পরিদর্শণ করেন।
এসময় পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল কেন্দিয় সার্কেল ফরিদ আহম্মেদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাক অধিদপ্তরের মোঃ গোলাম মোস্তাফা, উপ প্রকল্প পরিচালক মোঃ শামীমুর রাজিব, ডেপুটি জেলারেল পোষ্ট মাষ্টার মো. ওয়াহেদুজ্জামান, সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আরা, সাটুরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, বালিয়াটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মীর সোহেল আহমেদ চৌধুরী, বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রহুল আমিনসহ ডাক বিভাগের ভিভিন্ন কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১১ আগষ্ট ২০২২।