মোঃ শফি আলম, ২০ জুন:
মানিকগঞ্জের ঘিওরে যুবলীগ ও গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছে। আহত দুইজনকে সাভারের এনাম মডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ছোট বৈণ্যা মৌজায় একটি বড় জলাশয় রয়েছে। ইজারার মাধ্যমে অর্জিত টাকা এলাকার মসজিদ, মন্দির ও ক্লাবের উন্নয়নমূলক কাজে বরাদ্দ দেয়ার কথা থাকলেও ইজারাদাররা তা প্রদান করেননি।
এরই প্রেক্ষিতে বৈণ্যা গ্রামবাসী আর পুখুরিয়া এলাকার যুবলীগ নেতা কর্মীদের সাথে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তবে অপরদিকে যুবলীগ নেতা কর্মীরা দাবী করে জানান, অসহায় মানুষদের সহায়তা কর্মসূচীতে যাওয়ার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় অস্ত্রসহ চিহিৃত সন্ত্রাসীরা হামলা করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইফতি আরিফ বলেন, করোনাভাইরাসের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া অর্ধ শতাধিক অসহায় মানুষদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করার জন্য বৈন্যা রহিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যাওয়ার পথে রাসেল, বাচ্চু, নূরে আলম, শামীমসহ ৯/১০ জন আমাদের গতিরোধ করে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে।
এর প্রতিবাদ করলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের সাথে থাকা চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম (লাভলু), শান্তকে উপর্যপুরি চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। আহতদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৈন্যা জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন ত্রাণ বিতরন কাজে বাধা কিংবা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, প্রকৃত ঘটনা দীর্ঘদিনের বিবাদমান জলাশয়ের ইজারার টাকা নিয়ে।
মসজিদে টাকা অনুদান প্রদানের কথা বলে ইফতি আরিফ গংরা গত কয়েক বছর যাবত ইজারা প্রদান করতো। চলতি বছরেও তারা ৮০ হাজার টাকায় জলাশয় ইজারা দেয় কিন্তু এযাবত তারা মসজিদ, মন্দির কিংবা ক্লাবে একটি টাকাও দেয় নি।
এ নিয়ে বৈন্যা গ্রামবাসী প্রতিবাদ করে বলে, আমাদের গ্রামবাসীর ব্যক্তি মালিকানার জলাশয় এবছর আমরাই ইজারা দেবো। অন্য গ্রামের কাউকে জলাশয়ের ইজারা নিতে দেবো না।
এরই প্রেক্ষিতে গত শুকবার বিকেলে স্বপ্নের মোড় এলাকায় ওই জলাশয়ের খোলা ডাকের ব্যবস্থা করে গ্রামবাসী। স্থানীয় ইউপি মেম্বার বাচ্চু মিয়া, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য ডলি আক্তার, শামীম মিয়া, মোঃ রানাসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বেএই ডাকের আয়োজন করা হয়।পূর্বেও ইজারাদারদের বাদ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইফতি আরিফ, সাব্বির, মুকুল, শান্ত, লাভলুসহ ২৫/৩০ জনের এশটি দল গস্খামবাসীর ওপর চড়াও হয়। তখন তাদের সাথে গস্খামবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘঁনা ঘটে।
ঘিওর ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত কওে বলেছেন, অভিযুক্তদেও বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২০ জুন ২০২০।