গোপালগঞ্জে ভ্যাকসসিন তৈরির কারখানা স্থাপন করা হবে – মানিকগঞ্জে জাহিদ মালেক

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ২৬ জুন:

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গোপালগঞ্জে তৈরি হবে করোনার ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়টি আমরা অনেক আগ্রহের সাথে গ্রহণ করেছি।

শনিবার (২৬ জুন) বিকেল সোয় ৩ টার দিকে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যানমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীরও আগ্রহ রয়েছে। দেশি বিদেশী একপার্টদের সাথে আমরা ইতিমধ্যে কয়েকটি সভা করেছি। এক্সপার্টদের প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরির ব্যাপারে বলা হয়েছে। গোপালগঞ্জে যে ওষুধ কারখানা আছে অথবা তার পাশেই ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সভাও হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন ভ্যাকসিন যে সংখ্যায় চাই সে সংখ্যায় পাই না। আমরা ভারতের সাথে তিন কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি করেছিলাম। পেয়েছি মাত্র ৭০ লক্ষ। আর তারা উপহার দিয়েছিলেন ৩০ লক্ষ।এখনো দুই কোটি পাওনা আছে। চায়নার সাথে দুই কোটি চুক্তি আছে।সব মিলিয়ে ৬ কেটি ৮০ লক্ষ বুকিং দেয়া আছে। সবাই যদি তাদের কমিটমেন্ট রক্ষ করে তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ কোটি ভ্যাকসিন হাতে আসতে পারে।

তিনি আরো বলেন, লকডাউনের ওপর নিভরশীলতা নয়, লকডাউন দিতে হয় বাধ্য হয়ে। টিকা হাতে না থাকলে লকডাউনই করোনা প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। বিশে^র অনেক দেশই লকডাউন দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রনে রেখেছে। আমরা লকডাউন চাইনা। কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচাতেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা জানেন কয়েকদিন ধরে দেশে মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার ১০৮ জন মৃত্যুবরণ করেছে এবং সংক্রমণের হারও প্রায় ২২ শতাংশের কাছে চলে গেছে।

তিনি বলেন, দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশষে করে রাজশাহী ও খুলনায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে। পাশাপাশি বিভাগ, জেলা এবং ঢাকা শহরেও সংক্রমণ বাড়ছে। মৃত্যু হার ও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে কঠোর লকডাউন দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার প্রায় ১৩ শতাংশ হয়ে গেছে। আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হাসপাতালে প্রায় ৫ হাজার করোনা রোগী আছে। যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিলো তখন এর সংখ্যা ছিল এক হাজার। করোনা সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে আমারা হাতপাতালে রোগী জায়গা দিতে পারবো না এবং চিকিৎসা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হবে।

তিনি বলেন, ডব্লিউএইচও যে তথ্য দিয়েছে তাতে মডার্নার ভ্যাকসিন ৮/১০ দিনের মধ্যে চলে আসবে।মডার্নার ভ্যাকসিন খুবই ভালো ভ্যাকসিন। মাইনেস ২০ ডিগ্রীতেরাখতে হয়। সে ব্যবস্থাও ইতোমধ্যে করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতির সার্বিক তথ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি এই লকডাউনের নির্দশনা দিয়েছেন। যে টা আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে আগামী সাত দিন কার্যকর হবে। এই সাতদিন পরে দেখা হবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তারপরে আবার আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২৬ জুন ২০২১।

আরো পড়ুুন