মিজানুর রহমান মিরু , ১৭ আগষ্ট:
করোনা মোকাবিলায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঘরে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার ব্যবস্হা করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
যদিও সংসদ টেলিভিশনে ” আমার ঘরে আমার স্কুল ” নামে একটি অস্বচ্ছ প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের মাঝে ছুড়ে দিয়ে শিক্ষার্থীসহ অবিভাবকদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। ইদানিং কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্র /ছাত্রীদের নিকট থেকে অর্থকরী আদায়ের জন্য অনলাইন ভিত্তিক পাঠদান শুরু করেছে, যা শিক্ষার্থীদের কোন কাজে আসছে বলে আমার মনে হয় না। এছাড়া দরিদ্র পরিবারের অনেক শিক্ষার্থী কম্পিউটার, এন্ড্রয়েড ফোন সেটের অভাবে সেই অনলাইন ভিত্তিক পাঠদানে অংশ গ্রহণ করতে পারছে না।
কিছু দিন আগে সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম আমেরিকার পাগলা সরকার স্কুল, কলেজ খুলে দিয়েছেন। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরপরই যে বিষয়টি বিশ্ববাসী লক্ষ্য করেছে, সেটি হচ্ছে ৫০ হাজারের উপরে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত। ইউরোপ, আমেরিকার কিছু দেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কারনে বিতর্কিত হচ্ছে।
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলো এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গতকাল বলেছেন কিছু দিনের মধ্যে করোনা চলে যাবে। যোগাযোগ মন্ত্রী বলেছিলেন করোনা থেকে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী, এধরনের বক্তব্য ইতিমধ্যে হাস্যকরে পরিনত হয়েছে। আমাদের জবানে সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা রেখে কথা বলা উচিৎ। যা আমরা মন্ত্রীদের বক্তব্যে পাই না।
করোনা কালিন এই দূর্যোগ মুহূর্তে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আমার মনে হয় অটো প্রমোশন দেওয়া উচিত। আর এইচ.এস.সি পরীক্ষাটি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নেওয়া যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে পরীক্ষা হবে প্রতি শুক্রবার এবং শনিবার। কারন সরকারি ছুটির দিনে অফিস আদালত বন্ধ থাকায় বাহিরে জনসমাগম হ্রাস থাকবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে আমি বিশেষ ভাবে অনুরোধ করবো, আপনার স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কথায় হুট করে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিবেন না। এই মুহূর্তে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুলে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে এবং প্রয়োজনে দেশের বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদদের পরামর্শক্রমে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে সিদ্ধান্ত দেশের ভবিষ্যত কান্ডারীদের জীবন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুক, আমিন।
মিজানুর রহমান মিরু
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক
জাতীয় পার্টি।